You are currently viewing থ্রি ডি প্রিন্টিংঃ আজব যত কাজে ব্যবহার

থ্রি ডি প্রিন্টিংঃ আজব যত কাজে ব্যবহার

থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের ছোয়া অনেক শিল্পেই লেগেছে।বর্তমানে অনেক চমৎকার কাজে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচে এমন কিছু ব্যবহার তুলে ধরা হলোঃ

১)খাদ্য তৈরিতেঃ

ফুড ইন্ডাস্ট্রিজেও লেগেছে থ্রিডি প্রিন্টারের ছোঁয়া। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও লন্ডনে একটি রেস্তোরা রয়েছে,যা শুধুই থ্রিডি প্রিন্টেড ফুড বিক্রি করে । থ্রিডি ফুড প্রিন্টারের সাহায্যে বিভিন্ন কালার আর টেক্সার এর চকলেট তৈরি করা হচ্ছে । তৈরি করা হচ্ছে আস্ত পিজ্জা । থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে পিজ্জা তৈরি তিন ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে ময়দার বেস দেওয়া হয়,পরের ধাপে এতে সস যোগ করা হয়, শেষে চিজ দেওয়া হয়।

ট্রেডিশনাল ধাচের প্রিন্টারের সাথে ফুড প্রিন্টারের পার্থক্য শুধু ম্যাটেরিয়ালসে । আর ফ্রেশ খাদ্য উপাদান ব্যাবহার করা হয় বলে থ্রিডি প্রিন্টেড ফুড সম্পূর্ণ নিরাপদ ।

২)পোশাক শিল্পেঃ

          পোশাক শিল্পেও শুরু হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টারের ব্যবহার,হয়তো আমরা এমন এক সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যখন ঘরে ঘরে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে কাপড় চোপড় তৈরি হবে।নিজেরা নিজেদের ইচ্ছা মত ডিজাইন করে প্রিন্ট করে নেব আমাদের পছন্দের পোশাকটি । ইতোমধ্যেই  কিছু ফ্যাশন শো-তে থ্রিডি প্রিন্টেড পোশাক দেখানো হয়েছে ।পোশাক শিল্পে থ্রিডি প্রিন্টিং ব্যবহারের অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে এর ম্যাটেরিয়াল । বর্তমানে যে সিনথেটিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে প্রিন্ট হচ্ছে সেগুলো মোটেই আরামদায়ক না। তবে গবেষনা চলতে থাকলে আমরা আরামদায়ক ম্যাটেরিয়ালের থ্রিডি প্রিন্টেড পোশাকের আশা করতেই পারি।

৩)জুয়েলারি শিল্পেঃ

          জুয়েলারি শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে পারে থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি । থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম ডিজাইন সম্পন্ন অলঙ্কার তৈরি করা সম্ভব ।আধুনিক প্রিন্টার ব্যবহার করে সোনা,রুপা অথবা ব্রোঞ্জ ব্যবহার করেও বিভিন্ন অলঙ্কার তৈরি সম্ভব । কিছু আমেরিকান কোম্পানি ইতোমধ্যে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে পুরোদমে অলঙ্কার তৈরি শুরু করেছে । যা তাদের প্রডাক্ট ডেলিভারীর সময় কমিয়ে এনেছে অনেকাংশেই । এছাড়া থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহারে শ্রমিক খরচও কমেছে অনেক,যা বাড়িয়েছে লাভের পরিমান। এই প্রযুক্তিতে  অলঙ্কার তৈরি করতে শুধু থ্রিডি ক্যাড ডিজাইন লাগে বলে ,অনেক ক্রেতাও নিজের ডিজাইন ব্যবহার করে অলঙ্কার বানিয়ে নিচ্ছে । যা তাদের ব্যবসার সম্প্রসারনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ।

 

৪)জুতা শিল্পেঃ

নাইকি, অ্যাডিডাস,নিউ ব্যালান্সের মত কোম্পানি গুলোর মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি নিয়ে নীরব এক প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। নিত্যনতুন প্রযুক্তি যত দ্রুত আয়ত্ত করা যায়, ব্যবসার লাভ তত বেশী। আর প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকাও তত সহজ। নাইকি ফুটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজে মাঝে মাঝেই কিছু চমক নিয়ে আবির্ভূত হয় । এবার তার চোখ পড়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির দিকে । থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহারে কোন বর্জ্য উৎপাদিত হয় না ।তাই নাইকি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে  ম্যাটেরিয়ালসের অপচয় আর বর্জ্যের পরিমাণ দুইই কমিয়ে আনতে চাচ্ছে । এছাড়া থ্রিডি প্রিন্টিং দিয়ে অনেক জটিল ডিজাইনের জুতা তৈরি সম্ভব যা হালকা হওয়ার পাশপাশি ভালো পারফরমেন্স দিতে সক্ষম । এই সকল কারনেই জুতা শিল্পে থ্রিডি প্রিন্টিং বিপ্লব আনবে বলা যায় ।

Leave a Reply